তৃণমূল নেতার হুকুম তামিল করে তার ভাগ্নের নাম তুলতে বাড়ি যাননি শিক্ষিকা। সেই ‘অপরাধ’-এ শিক্ষিকার স্বামীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ক্ষোভে বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়ে বিডিওকে চিঠি দিলেন শিক্ষিকা। ঘটনায় কাঠগড়ায় ধূপগুড়ির তৃণমূল নেতা আলম রহমান।
ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ লেভেল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন পেশায় শিক্ষিকা জয়া মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুলে গেলে রমেন মোহন্ত নামে এক তৃণমূল নেতা বলেন, INTTUC নেতা আলম রহমানের ভাইপো ভোটার তালিকায় নাম তুলবে। ওর বাড়িতে যেতে হবে। কিন্তু আমি যাইনি। একজন সরকারি কর্মী হিসাবে আমি কেন তৃণমূল নেতার ভাইপোকে বাড়তি সুবিধা দেব। নিয়ম মেনে তৃণমূল নেতার ভাইপোরই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে বুথে আসা উচিত। এর পর রমেনবাবু আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আলম রহমান বড় তৃণমূল নেতা। ওর কথা না শুনলে বিপদ হতে পারে।’ আমি তখন তাঁকে ফোনে কথা বলে নিতে বলি।
এর পরই ওই শিক্ষিকাকে ফোন করে তৃণমূল নেতা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। শিক্ষিকার স্বামী ফোনেই তার প্রতিবাদ করেন। ওই রাতেই জয়াদেবীর স্বামী আশুতোষ মল্লিককে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এর পরই বিডিওর কাছে বিএলওর দায়িত্ব থেকে মুক্তি চেয়ে ইস্তফাপত্র দেন জয়া দেবী।
এব্যাপারে ধূপগুড়ি শহর INTTUC সভাপতি আলম রহমান বলেন, ‘ভোটার লিস্টে নাম তো নিয়ম মেনেই উঠবে। কিন্তু ওনার স্বামী আমার সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলেছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমি পুলিশে অভিযোগ করেছি। আর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ যদি উনি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আরও একটা মামলা করব।’