বিরিয়ানি বাবদ হাসপাতালের বিল তিন লক্ষ টাকা! তাও আবার মাত্র ১৯ দিনে। বিরিয়ানি খরচ বাবদ এত পরিমাণ বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। শুধুমাত্র বিরিয়ানি নয়, চারা গাছ থেকে শুরু করে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজ বাবদ কয়েক কোটি টাকা বিল ধরানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এই অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। বিল দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে রোগী পরিবার কল্যাণ সমিতি। সেক্ষেত্রে গরমিল পাওয়া গেলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছিলেন ঠিকাদাররা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল খতিয়ে দেখতে গিয়ে এমন গরমিল খুঁজে পেয়েছে। এই বিলে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে যেদিন বিরিয়ানির ওয়ার্ক-অর্ডার দেওয়া হয়েছে, তার চারদিন আগেই বিরিয়ানির বিলে সই হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে চারাগাছ লাগানোর জন্য দু'লক্ষ টাকার বিল দেখানো হয়েছে। কিন্তু, আদতে হাসপাতালে চারাগাছের কোনও অস্তিত্ব নেই। এর পাশাপাশি ইসিজির জেল কেনা নিয়েও গরমিল ধরা পড়েছে।
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তৎকালীন সুপার রতন শাসমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে বর্তমান সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিল আবার পরীক্ষা করা হবে। তাতে যদি ঠিকাদারদের গাফিলতি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। যদিও ঠিকাদারদের প্রশ্ন, যদি তাই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কীভাবে বিলে ওয়ার্ক ডান লেখা রয়েছে?
এ বিষয়ে কাটোয়া হাসপাতালের বর্তমান সুপার সৌভিক আলম জানান, ‘তিন কোটি টাকা মতো বিল এসেছে। নিশ্চয়ই কিছু গরমিল রয়েছে। এখন হাসপাতালের পক্ষ থেকে গরমিল করা হয়েছিল নাকি ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল তা তদন্ত করার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ জেলাশাসক, বিধায়ক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’