পদে বসার এক বছরের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল উত্তর দিনাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মহম্মদ জায়েদ আলমকে। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক চন্দ্র ভক্ত। তবে কী কারণে এই অপসারণ, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এই অপসারণ প্রসঙ্গে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত জানান, ‘জেলা শিক্ষা দফতরের যত অফিস রয়েছে, সবই আমার কাঁধে এসে পড়ল। আমার পক্ষে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে মিড ডে মিল এগুলিও আমাকে দেখতে হয়। স্বাভাবিকভাবে খুবই চাপের মধ্যে আছি। জানি না কতটা সামলাতে পারব। তবে আমার সহকর্মীরা যারা আছেন, তাঁরা যদি আমাকে সাহায্য করেন, তাহলে কাজ উতরে দিতে পারব।’ কিন্তু কেন অপসারণ করা হল মহম্মদ জায়েদ আলমকে। এই বিষয়ে কিছু বলতে না পারলেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, ‘গত ২৭ জুন বিষয়টি আমি জানতে পারি। জানতে পারি, জায়েদ আলমকে অপসারিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়নি। কালকে উনি আসেননি। ওনার সঙ্গে কথা বলতে খারাপ লাগছে। উনি খুব ভালো লোক ছিলেন। যেকদিন কাজ সামলেছেন, সুন্দরভাবে কাজ সামলেছেন। কে বা কী কারণে সরিয়ে দেওয়া হল, সেটা বলতে পারব না।’
সম্প্রতি এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে যেহেতু এই অপসারণ, সেই কারণে প্রশ্ন উঠছে, এই অপসারণের পিছনে কি নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া রয়েছে? সেই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে অপসারিত চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।