খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপর থেকে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। সাড়ে ১৯ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি ত্যাগ করেন ইডির তদন্তকারীরা। রাত পৌনে ২টোর সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়ি ছাড়েন তাঁরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা পেলেন কী? বাড়ির ভিতর থেকে কিছু নথি নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর বয়ান।
তদন্তে কী পেল ইডি? এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তাঁদের দাবি, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তারই তদন্তে এই হানা। পাঁচটি গাড়িতে করে খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন ইডির তদন্তকারীরা। সেখানে চলে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। তাতে কিছু কাগজ হাতে এসেছে বটে তবে সেগুলি খুব একটা কাজের নয় বলেই সূত্রের খবর। আর ইডি যে তথ্য নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করল তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই বলেই দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী বলছেন খাদ্যমন্ত্রী? ইডির টিম বাড়ি ছাড়তেই মুখ খুললেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী। রাত পৌনে ২টোর সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রথীন ঘোষ বলেন, ‘ইডি টিমের অফিসাররা আমার সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করেননি। তবে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তাঁদের যে ধারণা সেখানে অনেক গন্ডগোল আছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই তল্লাশি করা হয়েছে। আমাকে হেনস্থা করতেই বাড়িতে এসেছিলেন ইডি টিমের অফিসাররা।’ আর নিয়োগ করার কোনও নথি তাঁর বাড়ি থেকে মেলেনি বলেও দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘ঘেরাও নয়, ঘর আও’, অভিষেকের ধরনা মঞ্চে অবশেষে এল আনন্দ বার্তা
বহুদিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন ঘোষ। তারপর তিনি খাদ্যমন্ত্রী হন। ইডি সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের অফিস থেকে যে নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেখান থেকে রথীনের নাম উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই এই ম্যারাথন অভিযান।