কৃষকদের সুবিধার্থে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে থাকে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যের খাদ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অতিরিক্ত ধান কেনা হবে। মূলত রেশন ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা বৈঠক করে অতিরিক্ত ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরজন্য বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছেন। আগে একজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান কেনা যেত। তবে এবার তার দ্বিগুণ অর্থাৎ ৯০ কুইন্টাল ধান কেনা যাবে। প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ধান কিনতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ওপেন সেল স্কিমে রাজ্যকে ধান বিক্রি করতে রাজি হয়নি কেন্দ্র সরকার। তাই সরাসরি চাষিদের কাছ থেকেই ধান কেনার ওপর জোর দিয়েছে খাদ্য দফতর। এরজন্য ধান কেনার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াল খাদ্য দফতর।
আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, তদন্তের নির্দেশ খাদ্য দফতরের
সাধারণত কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষক বন্ধু প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধানও কিনছে সরকার। তবে এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার গতি বাড়াতে হবে। রাজ্য সরকার আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। তবে তাতে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যার ফলে চাষিদের কাছ থেকে বেশি ধান কেনা সম্ভব হয়নি। তাই ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে অতিরিক্ত ধান চাষিদের কাছ থেকে কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য গ্রামগুলিতে অস্থায়ী শিবির খোলার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান শিবিরও চালু করতে বলা হয়েছে। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। এছাড়া দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে ধান কেনার জন্য নিয়মে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। আগে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য তাঁদের আধার নম্বর স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে ধান কেনার কাজ অনেকটাই ব্যাহত হয়। এই অবস্থায় কাজে গতি আনতে নিয়মে কিছুটা বদল আনা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে আধার নম্বর স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাই আপাতত বাধ্যতামূলক থাকছে না। তাছাড়া চাষিদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান কেনা যাবে। এরফলে জটিলতা কমবে বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫০ লক্ষ টন ধান কিনে ফেলেছে। নতুন পদ্ধতিতে আরও বেশি পরিমাণে ধান চাষিদের কাছ থেকে কেনা হবে। বায়োমেট্রিক বন্ধ রাখা হলেও স্বচ্ছতার জন্য বিশেষ নজরদারি চালাবে খাদ্য দফতর। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে। তবে বেশ কিছু নথি কৃষকদের জমা রাখতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে আগাম বুকিং করতে হবে। জানা গিয়েছে এই শিবিরগুলি কমপক্ষে ৭ দিন ধরে চলবে।