ডিসেম্বর মাস শেষের দিকে। কিন্তু শীত একবার ঝাঁকিয়ে পড়েই যেন উধাও। রাত পোহালেই বড়দিন। তাই অনেকেই পরিকল্পনা করেছেন সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখি দেখতে যাবেন। কিন্তু সেখানে যে ভিনদেশি পাখিরা আসছে না! তাহলে কী হবে? উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু কেন এখনও তারা এমুখো হল না? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবেশবিদদের মনে।
হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন বাকসাড়ার ঝিলপাড় রোড। তার ডান দিকেই ৩২ একরের সাঁতরাগাছি ঝিল। ১০–১২ ফুট চওড়া রাস্তার এক পাশে ঝিল এবং অন্য পাশে সারি দিয়ে বসতবাড়ি। হাওড়ায় দক্ষিণ–পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশনের ঠিক পাশেই অবস্থিত সাঁতরাগাছি ঝিল। এটা শুধু বড় জলাশয়ই নয়, বছরের পর বছর ধরে এটি পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঠিকানাও।
কিন্তু এখানেই এবার পাখি আসছে না। এখনও পর্যন্ত দেখা মিলল না ভিনদেশী পাখিদের। কী কারণে এখনও পর্যন্ত তারা এমুখো হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিবেশবিদরা মনে করছেন, অসময়ে বৃষ্টি এবং মাঝেমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ে পাখিদের কলরব শোনা যাচ্ছে না।
প্রত্যেক বছর শীতের মরশুমে হাজার হাজার দেশি–বিদেশি পাখি এখানে আসে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কয়েকটি দেশি পাখি দেখা গেলেও দেখা মিলল না ভিনদেশি পাখিদের। আর তাতেই যেন কলতান থেকে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে সাঁতরাগাছি ঝিলে। যদিও ঝিল সংস্কার সেরকমভাবে হয়নি বলে মনে করছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা। কবে ফের পাখিদের কলরবে ভরে উঠবে সাঁতরাগাছি ঝিল এখন সেদিকেই তাকিয়ে পাখি–প্রেমীরা।