রায়গঞ্জ থানা
বন্ধুদের সঙ্গে দেশি মদের আসরে বসেছিলেন যুবক। আর তারপরেই ঘটল নৃশংস ঘটনা। কেটে নেওয়া হল যুবকের পুরুষাঙ্গ। আর এই নৃশংস কাণ্ড ঘটাল যুবকেরই বন্ধুরা। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বর্তমানে ওই যুবক বাড়িতেই রয়েছেন। এই ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:ছাগল জবাই করার স্বপ্ন দেখতে দেখতে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন এক ব্যক্তি
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম কার্তিক বর্মন। তিনি রায়গঞ্জ থানার তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা। মাঝেমধ্যে কাজ শেষে সন্ধ্যা বেলায় বন্ধুদের সঙ্গে চোলাইয়ের আসরে বসতেন ওই যুবক। কয়েকদিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে চোলাই খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন বন্ধুরা তার চোলাইয়ে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল। তখন সেটি খাওয়ার পর সে অচেতন হয়ে পরেন ওই যুবক। অভিযোগ, এরপর একজন গামছা দিয়ে যুবকের মুখ চেপে ধরে এবং বাকিরা তাঁর হাত পা চেপে ধরে এবং পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। এরপর যুবকের গোঙানির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসেন । তারা ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে ওই যুবককে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি অন্য হাসপাতালে যেতে পারেননি। মূলত আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ওই যুবক। আপাতত তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। পুরো ঘটনাটি ঘটিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটল? যুবকের পুরুষাঙ্গই বা কেন কেটে নিল অভিযুক্তরা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের মধ্যে পুরনো শত্রুতা ছিল নাকি এর পিছনে অন্য কোনঅবরহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে ঘটনার বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের ধরতে না পারায় প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।