পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। এমনকী নিজের দাবিতে অনড় থাকতে দলীয় লাইনের বিরুদ্ধেও গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দার্জিলিং রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক দাবি করলেন আলিপুরদুয়ারের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তাঁর অভিযোগ, জন বারলা সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন। এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে গিয়েছে।
সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়া গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার অভিযোগ, ‘আলিপুরদুয়ারের চামুর্চি মোড়ের কাছে অনেকখানি সরকারি জমি দখল করে নিয়েছেন জন বারলা। সেই জমির উপর বাড়ি তৈরি করেছেন। এমনকী তা তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় কোটি টাকা। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা বাড়ি করেছেন তিনি।’ এই খবর চাউর হতেই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। এখন প্রশ্ন উঠছে, নিজের স্বার্থেই কী পৃথক রাজ্যের দাবি করছিলেন তিনি?
এদিকে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করতে পারেননি বিজেপি সাংসদও। তিনি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘দখল তো করিনি। সরকারি জমিতে বাড়ি তৈরি হয়েছে সেখানে কমিউনিটি সেন্টার বানানো হবে বলে। সেখানে মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসও তো আছে সরকারি জমির উপর।’
অন্যদিকে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে দার্জিলিং রাজভবন থেকে বেড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আজ এই নিয়ে কোন কথা হয়নি। আজ কিছু বলব না। যা বলার দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বলব।’ সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও কড়া ধমক দিয়েছেন জন বারলাকে। তারই মধ্যে বার্লার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের মারাত্মক অভিযোগ উঠল।