ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হলেন হাবরার এক তৃণমূল নেতা। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের ঠিক আগের দিন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ওই তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাবরার হাটথুবা এলাকার ঘোষপাড়ায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার। বৈঠকের হাজির কর্মীরা জানান, বৈঠকের মধ্যে রাজীবের একটি ফোন আসে। ফোন আসতেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। তখনই তাঁকে রাস্তার উল্টোদিক থেকে গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রাজীব। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার জানান, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রায় ১৫০ জন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করবেন। বেশ কয়েকজন মহিলারও যোগদান করার কথা রয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতেই তৃণমূল নেত্রী লক্ষ্মী বিশ্বাসের বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন একটা ফোন আসে। টাওয়ার না থাকায় বাইরে যাই। তখনই একটি ছেলে দূর থেকে এগিয়ে আসে। যেই বন্ধুকটা তুলে গুলি করতে যায়, তখনই ঘরে ঢুকে যাই। গুলিটা তখনই চালায়।’ তৃণমূলের ওই নেতার দাবি, এই ঘটনার পিছনে বিজেপি রয়েছে।
যদিও পুরো ঘটনাটির দায় নিতে অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। নিজের ভিতেরর ঝামেলা চাপা দিতেই এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। যদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। হঠাৎ করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা ঘটায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।