এক সাব-ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি নদিয়ার নাকাশিপাড়া এলাকার। থানার সামনেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই পুলিশ অফিসার। সেই বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। কিছুদিন আগেই নদীয়া নাকাশিপাড়ায় সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন ওই সাব ইন্সপেক্টর। মৃত পুলিশ অফিসারের নাম গৌড় গোপাল গঙ্গোপাধ্যায় (৫৬)। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায়। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে নাকাশিপাড়া থানায় পোস্টিং ছিলেন। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেই সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ওই পুলিশ অফিসার। তাতে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে দায়ী করেছেন ওই সব ইন্সপেক্টর। যা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সুইসাইড নোটে তিনি দাবি করেছেন, নাকাশিপাড়া থানায় একটি বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন ওই এসআই। সেই তদন্ত করতে গিয়ে তাঁকে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী অনেকেই নাকি এই ঘটনায় মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার তদন্তের জন্য এক ঊর্ধ্বতন অফিসারও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলে সুইসাইড নোটে তিনি দাবি করেছেন।
সুইসাইড নোট অনুযায়ী, তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। শেষে তিনি আত্মহত্যা করেন। একজন পুলিশ অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চাইনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup