হাওড়া হিংসা নিয়ে পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন জাভেদ শামিম। এবার পুলিশের এডিজিকে (আইন-শৃঙ্খলা) নিয়ে ‘ইশারা’ করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘ওঁনার নাম জাভেদ শামিম তো। সমঝদারও কে লিয়ে ইশারা কাফি হ্যা।’
সোমবার হাওড়ার হিংসা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)। সেই সাংবাদিক বৈঠকের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, 'এটা রাজনৈতিক বিবৃতি। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের থেকে যে বিবৃতি আসার কথা ছিল, সেটা আসেনি। জাভেদ শামিম জি তো! ওঁনার নাম জাভেদ শামিম তো। সমঝদারও কে লিয়ে ইশারা কাফি হ্যা।' সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমায় হাসান আটকেছিলেন এবং জাভেদ শামিম সাংবাদিক করেছেন। কী হচ্ছে বুঝে নিন, বাংলা আমাদের হাতে নেই। বেরিয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে হিংসায় দায়ের ৪২ মামলা, গ্রেফতার ২০০, কাউকে ছাড়া হবে না: জাভেদ শামিম
জাভেদ শামিম কী বলেছেন?
১) ‘গত কয়েকদিনের হিংসায় যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য পুলিশ। দেশের আইন অনুসারে তাদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। রাজ্যের সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা গোলমাল পাকাচ্ছে, তাও তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। কীভাবে এত মানুষ এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
২) জাভেদ শামিম জানান, সাম্প্রতিক হিংসায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ টি এফআইআর রুজু হয়েছে। শুধু ১৭ টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া কমিশনারেট এলাকায়। ন'টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। ছোটো ঘটনাগুলিতেও দায়ের হয়েছে এফআইআর। পথ অবরোধ, ভাঙচুর, পাথর ছোড়া ও আগুন লাগানোর ঘটনায় আলাদা-আলাদা অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। বিভিন্ন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাওড়ায় হিংসা
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া। প্রতিবাদের নামে কার্যত তাণ্ডব চলেছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় সেই রেশ ছড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে।
তারইমধ্যে গত সপ্তাহে মানুষজনকে শান্ত হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব খাড়া করে শনিবার মমতা বলেন, ‘আগেও বলেছি, দু'দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’