গরম পড়েছে। তবে চরমে নয়। তাতেই তিস্তা নদীর জল কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে চোখ কপালে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে নদীতে। কারণ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির ‘মহাশোল’। যার ওজন ৩৬ কেজি। আর এই মহাশোল দেখতে ভিড় জমিয়েছেন গ্রামের মানুষজন। জলপাইগুড়ির এলাকার স্টেশন বাজারে এটাই এখন বড় খবর।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? তিস্তার গজলডোবা এলাকায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে বিশাল আকৃতির শোল মাছ। ওজন মেপে দেখা যায়, ৩৬ কেজি। এত বড় চেহারার ‘মহাশোল’ মাছ তিস্তা নদীতে আগে কবে দেখা গিয়েছে তা কেউ মনে করতে পারছেন না। জলপাইগুড়ি স্টেশনের মাছের বাজারের নিলাম ঘরে এই মাছ ১৮ হাজার টাকায় কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ী রাজেশ শা।
কী তথ্য জানাচ্ছে মৎস্য দফতর? এই বিশাল আকৃতির মহাশোল মাছ ধরা পড়ায় খুশি আধিকারিকরা। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা মৎস্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমন সাহা বলেন, ‘বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়ার অর্থ নদীর মৎস্য ভাণ্ডার অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। আর এমন মাছ ধরা পড়তে পারে। বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’
মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, ছোট মাছ না ধরার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ হয়েছে। লাগাতার প্রচার এবং সচেতনতার কর্মসূচির সুফল এটাই বলা যেতে পারে। নদী থেকে ছোট মাছ ধরার প্রবণতা অনেক কমেছে। বন্ধ হয়েছে জালের বদলে বিদ্যুতের ব্যবহার। ফলে বাড়ছে মাছেদের সংসার। যার সুফল এবার পাচ্ছেন তিস্তা নদীর মৎস্যজীবীরা।