রাজ্য বিধানসভায় বিধায়কদের মারামারির ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়কদের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিধানসভার ভিতর যেভাবে তৃণমূল বিধায়কদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে তা বিধানসভার বাইরে হলে বিজেপি বিধায়করা গ্রেফতার হয়ে যেতেন।’ বিজেপি বিধায়করা জঘন্য কাজ করেছেন বলেই তিনি মনে করেন।
এখন জব ফেয়ার চলছে দুর্গাপুর আইআইটিতে। বৃহস্পতিবার সেই জব ফেয়ারের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবির। সেখানেই বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের হামলার ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘বিধায়ক হিসেবে আমি প্রথমবার বিধানসভায় অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলাম। আর শেষ দিনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিতে তৃণমূল বিধায়কদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি বিধায়করা। শুধু তৃণমূল বিধায়কদের মারধর করা নয়, মহিলা কর্মীদের হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে তাদের সম্মানহানি করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় স্পিকার যেহেতু দায়িত্বে থাকেন তাই এসব করে বিজেপি বিধায়করা পার পেয়ে গেলেন। তবে তা বিধানসভার বাইরে হলে তাদের প্রত্যেককে কাস্টডিতে নিতাম।’
এসবের পাশাপাশি পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও এদিন প্রতিবাদ জানান হুমায়ুন কবীর। প্রসঙ্গত, বিধানসভার মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়কদের মারামারিতে নাক ফেটে যায় একজন তৃণমূল বিধায়কের। এরপরেই বিজেপির ৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। সেইসঙ্গে তাদের শাস্তির দাবিও জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের ১০ জন বিধায়ক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পাল্টা স্পিকারকে চিঠি দেয় বিজেপি।