পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন স্ত্রী। স্রেফ এই সন্দেহে ধারাল ব্লেড় দিয়ে বধূর চুল কামিয়ে ন্যাড়া করে দিল স্বামী ও শাশুড়ি! শুধু তাই নয়, ঘটনার পর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দু’জনের বিরুদ্ধে। এমনকী, ঘর থেকে বের হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন নির্যাতিতা ওই বধূ। এর পর তাঁদের সাহায্যে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাবড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার সোনাকেনিয়া সরদার পাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর নাম সুনীল সরদার ও শাশুড়ি আরতী সরদার।
নির্যাতিতা ওই বধূ জানিয়েছেন, তাঁর পৈতৃক বাড়ি বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার বকচরা গ্রামে। গত তিন বছর আগে দেখাশুনা করেই হাবড়া সোনাকানিয়া এলাকার বাসিন্দা সুনীল সরদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির একটি দেড় বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে।
ওই বধূর অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাঁর স্বামী সুনীল ও শাশুড়ি আরতী মিলে মাঝেমধ্যেই তাঁকে নানা কারণে মারধর করত।
তাঁর আরও অভিযোগ, মেয়ের জন্মের পর থেকে সন্তানের মুখ চেয়ে শ্বশুরবাড়ির সমস্ত অত্যাচার সহ্য করেছিলেন তিনি। গত ২২ তারিখ অর্থাৎ ষষ্ঠ দফার ভোটের দিনও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁর মাথায়ও আঘাত করে অভিযুক্তরা।
তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুরে আচমকা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন স্বামী। তারপর পরকীয়া সন্দেহে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এর পর ধারাল ব্লেড দিয়ে বধূর মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া হয়। ঘর থেকে বের হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওইদিন সন্ধ্যায় কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে পাশের গ্রামে তাঁর এক দূর সম্পর্কের কাকার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। পরে তাঁর ওই আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের সাহায্যে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বধূ। এর পরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।