শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে কি ক্রমশ আশা হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস? প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রীর তৃণমূলে থাকার আশাও কি ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে? হোয়্যাটসঅ্যাপে শুভেন্দুকে সৌগত রায়ের জবাবের পরে সেই জল্পনাই তুঙ্গে উঠেছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘ক্ষমা’ চেয়ে শুভেন্দুর হোয়্যাটসঅ্যাপের পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে সাংসদ সৌগত রায়ের। তারপর শুভেন্দুকে হোয়্যাটসঅ্যাপে উত্তর দিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ। যিনি মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, ‘সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু তৃণমূলেই ছিলেন, তৃণমূলেই থাকবেন।’
কিন্তু সেই ম্যারাথন বৈঠকের ১৪ ঘণ্টা পর সৌগতকে হোয়্যাটসঅ্যাপে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল’। তিনি 'ক্ষমা'-ও চান বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ‘শুভেন্দু বলেছেন, তিনি যে সমস্যাগুলি তুলে ধরেছিলেন, সেগুলির সমাধান না করে এবং তাঁকে কথা বলতে না দিয়ে সংবাদমাধ্যমে দলের নেতারা মিথ্যা দাবি করছেন। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে দলে একসঙ্গে কাজ করা কঠিন।’
তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে উত্তর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সৌগত। সূত্রের খবর, হোয়্যাটসঅ্যাপে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে শুভেন্দু যে যে বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন এবং যে যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটাই সংবাদমাধ্যমের সামনে বলা হয়েছে। গোপন বৈঠকের বিষয়বস্ত ফাঁস দেওয়ার কোনও বিষয় ছিল না। বরং ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হওয়ায় সে কথা সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। ‘কিন্তু এখন শুভেন্দু এখন অবস্থান পালটালে সেটা তাঁর বিষয়।’
তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবার শুভেন্দুর কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। এরপর নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিজেই স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু। অর্থাৎ দলের তরফে বাড়তি কোনও চেষ্টা করা হবে না। শুভেন্দু এখনও দলে থাকলে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে বলে সূত্রের খবর।