মালবাজারের বিপর্যয়ের জের। জলপাইগুড়িতে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল বাতিল করল প্রশাসন। এরপর কবে হবে এই কার্নিভাল, আদৌ হবে কি না তা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ভেসে গিয়েছিলেন অনেকে। তারপরে আর কার্নিভাল করার ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। জলপাইগুড়ির লেখক নাট্যকর্মীদের অনেকেই জানিয়ে দেন, এখন কার্নিভাল করা ঠিক হবে না। শুক্রবার জলপাইগুড়ি কিং সাহেবের ঘাটে এই কার্নিভাল হওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবারই জলপাইগুড়িতে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালবাজারের বিপর্যয়ের জেরে সেই কার্নিভালে অংশ নিতে চায়নি একাধিক পুজো কমিটি। কদমতলা পুজো কমিটি তাদের এদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়। প্রশাসনও দফায় দফায় এনিয়ে বৈঠকে বসে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হবে না।
এদিকে জলপাইগুড়িতে হড়পা বানে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জেরে প্রশাসনিক গাফিলতিকে কাঠগড়়ায় তুলছেন অনেকেই। কেন সিভিল ডিফেন্সকে আরও কার্যকরী করা হয়নি সেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে এবাবে বিসর্জন দিতে গিয়ে তরতাজা প্রাণগুলো চলে যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না বাসিন্দারা। একে একে এলাকায় ফিরছে নিথর দেহ। কান্নায় ভারী হচ্ছে বাতাস। সেই পরিস্থিতিতে ঘটা করে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল করার মতো মানসিক পরিস্থিতি কারও নেই। সব মিলিয়ে বাতিল করা হল কার্নিভাল। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে, এই মৃত্যুর দায় কার। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। কিন্তু যাঁরা প্রিয়জনকে হারালেন তাঁদের কাছে এখন শুধুই বুকফাটা কান্না।