উত্তর দিনাজপুরের কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের লালবাজার সংলগ্ন কোটগছ কালী মন্দিরে। মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মন্দির থেকে দেবীর সোনার গয়না, প্রণামী বাক্সের টাকা ও মন্দিরের সমস্ত বাসনপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, সোনার গয়না ও নগদ অর্থ-সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি চুরি হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের দাবিতে কোটগছ এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে দেখান মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়ার ঐতিহ্যবাহী কোটগছ কালী মন্দিরে গতকাল গভীর রাতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। মন্দিরের দেবীর গায়ে পরানো সোনার গয়না, প্রণামী বাক্স ও সিন্দুকে রাখা সোনার গয়না-সহ নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছাড়াও মন্দিরের সমস্ত বাসনপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি চুরি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, চোপড়া থানা ও মন্দির সংলগ্ন লালবাজার পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া সত্বেও পুলিশ কোনও ব্যাবস্থা নেয়নি। কোটগছ সীমান্তের বিএসএফ ও স্থানীয় মন্দির কমিটির পরিচালনায় প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দির চলত।
মন্দির কমিটির সভাপতি রানা দাস বলেন, ‘রাত ১২ টা পর্যন্ত এলাকায় দু’জন সিভিক পুলিশকে দেখা গিয়েছিল। তারপর ভোররাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।’ চুরির ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।