উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তবে বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ জন বারলার বক্তব্য়ের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তবে বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী একমত না হলেও জন বারলার পাশে এবার দাঁড়াচ্ছে কামতাপুর পিপলস পার্টি(ইউনাইটেড)। নিখিল রায়ের নেতৃত্বে কেপিপির এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই কামতাপুরী ভাষার স্বীকৃতি, পৃথক রাজ্য গঠন সহ নানা দাবিতে সরব। এবার খোদ বিজেপি সাংসদের মুখে একটু অন্যভাবে রাজ্য় গঠনের দাবির কথা শুনে কিছুটা হলেও চাঙা হয়েছে কেপিপি শিবির। এমনকী বিজেপি সাংসদ জন বারলার সঙ্গে বৈঠকেও বসতে চান কেপিপি নেতৃত্ব। তবে কি ফের পৃথক রাজ্যের দীর্ঘদিনের দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামতে চাইছে কেপিপি? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা ছিলেন জন বারলা। সেই জন বারলার বক্তব্যকে সমমনোভাবাপন্ন কেপিপি নেতার সমর্থন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেপিপির সভাপতি নিখিল রায়ের দাবি, ‘পৃথক রাজ্যের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। মাঝে সরকারের অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতা ও ধরপাকড়ের জন্য আন্দোলন কিছুটা দমে যায়। তবে সর্বভারতীয় দলের সাংসদ হিসাবে জন বারলা যেভাবে নতুন করে উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি করছেন তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত, শোষিত। তাঁর দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে কথা বলব।’ পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে নানা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তাঁর দাবি, ‘সাংসদ এই দাবি তোলায় উৎফুল্ল এখানকার যুব সমাজ। এখানে আমরা গিনিপিগের মতো বেঁচে আছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চা বাগান, সেভাবে কোনও উন্নয়ন হয়নি।’
তবে শাসকদলের একাংশের দাবি, একটা আবেগকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কামতাপুরী ভাষাকে রাজ্য সরকার মর্যাদা দিয়েছে। রাজ্য ভাগের দাবি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।