সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ। হাতের ধমনী কেটে মেঝেতে পড়ে মা। আর বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন অশীতিপর বাবা। শুক্রবার এই মর্মান্তিক ছবি দেখা গেল হুগলির কোন্নগরের ক্রাইপার রোডের অরণি আবাসনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। বিপাশা মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করেন। মা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে।
আবাসনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সাত বছর আগে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কারও সঙ্গে মিশতেন না। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে নিয়ে কয়েকদিন বেশ ছোটাছুটি করেন একমাত্র মেয়ে বিপাশা (৩৫)। এর পর থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন বুদ্ধদেববাবু।
এক প্রতিবেশী জানান, শুক্রবার সকালে সাফাইকর্মী এসে জানান, পাশের ফ্ল্যাটে সুইসাইড করেছে। গিয়ে দেখি, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন বিপাশা। মেয়ের পরিণতি দেখে হাতের ধমনী কেটে পড়ে রয়েছেন মা কৃষ্ণাদেবী। ওদিকে বিছানায় কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধ বুদ্ধদেববাবু।
তাঁরাই কোন্নগর ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আবাসনের এক বাসিন্দা কৃষ্ণাদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, পরিবারটি কারও সঙ্গে মিশত না। তবে গত কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝে আবাসন থেকে অশান্তির শব্দ আসছিল।