ট্রেনের দুর্ভোগ চলছেই। থামার নাম নেই। মঙ্গলের সন্ধ্যায় রানাঘাট-বনগাঁ শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। পরে পাওয়ার ব্লক করে মেরামতির কাজ করা হয়।
অন্যদিকে আগামী ২৪ জুন থেকে ৯ জুলাই আবার ভোগান্তির দিন শুরু হচ্ছে নৈহাটি- ব্যান্ডেল শাখায় ।কিন্তু রানাঘাট-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচলে কেন বিঘ্ন হল এদিন?
সূত্রের খবর, সম্ভবত ওভারহেডে তারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তার জেরেই একাধিক ট্রেনে সমস্যা দেখা দেয়। মাঝপথে থমকে যায় একাধিক ট্রেন। ৩৩৭৩১ রানাঘাট-বনগাঁ লোকাল মাঝপথেই থমকে যায়। থমকে যায় ৩৩৭৩২ বনগাঁ-রানাঘাট লোকাল আচমকাই থমকে যায় বলে খবর। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। চলতেই চলতেই থমকে যাচ্ছে একাধিক লোকাল ট্রেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ওই দুটি ট্রেনকে রানাঘাট-মাঝেরগ্রাম ও বনগাঁ-মাঝেরগ্রামের মধ্যে চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এদিন চরম দুর্ভোগের মধ্য়ে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। বিশেষত অফিস ফেরৎ প্রচুর যাত্রী ছিলেন ওই ট্রেনে। তারা পড়ে যান মারাত্মক সমস্যায়। গন্তব্যে পৌঁছতে একেবারে কালঘাম ছোটে তাদের।
তবে শেষ পর্যন্ত রানাঘাট ও মাঝেরগ্রামের মধ্য়ে পাওয়ার ব্লক করে দেওয়া হয়। এর জেরে ট্রেন চলাচল সাময়িক থমকে যায়। মূলত ওভারহেডে তারে কাজের জন্য এদিন পাওয়ার ব্লক করে দেওয়া হয়। এরপর প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়। যাত্রীদের একাংশের মতে নিয়মিত নজরদারি না থাকার জন্যই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা মেটানোর কাজ করে।
তবে এদিনই যে ভোগান্তির শেষ হচ্ছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আগামী দিনে কারিগরি কাজের জন্য আরও কয়েকদিন রেল পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, ব্যান্ডেল ও নৈহাটির মধ্যে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। সেকারণে সাময়িকভাবে কিছু ট্রেনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একেবারে নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেই দিনগুলি হল ২৭ জুন ও ৩০ জুন। এরপর জুলাই মাসে ৪ জুলাই ও ৭ জুলাই।। এই রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ৩৭৫৩৬ ও ৩৭৫৩৮ ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল থাকছে। এনিয়ে রেলের বিজ্ঞপ্তি দেখে নিয়ে তারপর হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াটাই ভালো। না হলে হয়রানি হতে পারে।