৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে বলে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর নির্দেশ মানছেন না তাঁর দলের কর্মীরাই। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লাগোয়া বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিন সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পিকনিক করতে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
লকডাউনের জেরে গত মার্চ থেকে বন্ধ উত্তর ২৪ পরগনার বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। যাকে পারমদন ফরেস্ট বলে চেনেন স্থানীয়রা। রবিবার দুপুরে সেখানে বাগদা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে ভিড় করতে দেখা যায়। উৎসাহী হয়ে স্থানীয়রা উঁকি দিতেই দেখেন ভিতরে চলছে চড়ুইভাতি। সেখানে হাজির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য পরিতোষ সাহা, অরূপ পাল-সহ প্রচুর তৃণমূল কর্মী। এর পরই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় অভয়ারণ্যের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পেয়ে সেখানে যায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারাও বিক্ষোভে সামিল হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশ। স্থানীয়দের সরিয়ে তারা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করে। বিজেপির অভিযোগ, আমফানের ত্রাণের টাকা ও কাটমানি দিয়ে সেখানে পিকনিক করছিল তৃণমূল।
যদিও তৃণমূলের তরফে পিকনিক করার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, আমফানে পারমদন ফরেস্টে প্রচুর গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে কী করে পুনরুদ্ধার করা যায় তার পরিকল্পনার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সঙ্গে বর্ষায় নতুন বনসৃজনের ব্যাপারেও আলোচনা ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভে সেসব পণ্ড হয়ে যায়।