ভ্যাকসিন না পেয়ে এবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু আজও ভ্যাকসিনও না মেলায় পথ অবরোধ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ বেশ কিছুক্ষণ পর উঠে যায়।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ভ্যাকসিন নিতে তাঁরা হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। সাধারণ মানুষেরা জানান, লাইনে দাঁড়ালে হাসপাতালের তরফে ইস্যু করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণের টোকোন স্লিপ। কিন্তু তারপরও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতি সপ্তাহে শুধু বৃহস্পতিবার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। সেই দিন ৩০০ -৪০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ। ফলে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে পারেন না। কিন্তু এখন ভ্যাকসিনের জোগান বন্ধ থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও মানুষকে এই পরিষেবা দিতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এদিন যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই জানান, টিকা নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে বলে মোবাইলে মেসেজ এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা নিতেও বলা হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এরফলে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন না পেয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাসিন্দারা। আর এবারও ভ্যাকসিন না মেলায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতি সামলাতে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। অনেক বুঝিয়ে তাঁদের সরাতে সক্ষম হয় পুলিশ।