আবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিষোদ্গার করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শান্তিপুরে উপনির্বাচনের প্রচারে এসে তিনি তাঁর কটাক্ষ, ‘দুর্গোৎসব চলাকালীন সপ্তমী থেকে দশমী এই চারদিন বাংলার বেকার যুবক–যুবতীদের মদ্যপান করার সুযোগ করে দিয়ে ৭০২ কোটি টাকা রোজগার করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
বুধবার নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থনে শান্তিপুর সারদাপল্লী মাঠে জনসভায় যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক–যুবতীদের কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধাটুকুও কেড়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের এসএসসি পরীক্ষাও বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আসল ওবিসি নথিভূক্ত যুবক–যুবতীদের বঞ্চিত করে ওবিসি–এ চালু করে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের চাকরিপ্রার্থীদের বাড়তি সুযোগ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এই মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি দেখছেন অনেকে। আবার যুবক–যুবতীরা মদ্যপান করছেন বলেও বিতর্ক তুঙ্গে তুলেছেন।
এদিল তিনি ত্রিপুরা নিয়েও জানান, আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারবে না। পূর্বে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির নির্বাচনে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে অন্য নামে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে আক্রমণ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও এই দিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট কবিয়াল অসীম সরকার–সহ রানাঘাট উত্তর–পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়–সহ রাজ্য ও জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। তবে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পদত্যাগ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি শুভেন্দু।