লিভ ইন সঙ্গিনীর মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম শ্বেতা রানী (৩০)। তিনি পঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা। কলকাতার রাজারহাট কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তিনি থাকতেন। সেখানে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। শ্বেতাকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকরা শ্বেতাকে মৃত ঘোষণা করলে ওই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বাধা দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। শ্বেতার মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, বছর তিনেক আগে শ্বেতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীর সন্দেহ ছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে শ্বেতার। তারপর থেকে দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কলকাতার রাজারহাটের কমপ্লেক্সে একটি ফ্লাটে থাকতেন শ্বেতা। একই রকমভাবে শনিবারও তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর শোবার ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন শ্বেতা। পুলিশ অবশ্য তাঁর ঠোঁটে রক্তের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে। শ্বেতার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশ এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, বেশ কিছুক্ষণ দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরেও দরজা খোলেননি শ্বেতা। পরে দরজা ভেঙে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর সঙ্গী। বিধাননগর কমিশনারেটের একজন সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় আমরা অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করেছি এবং মহিলার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছি। কীভাবে এবং কখন শ্বেতা মারা গেলেন তা জানার জন্য আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup