বেআইনভাবে জমি দখল করেছে রেল।যারফলে বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। রেলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল পুরসভা। অভিযোগ, শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ের কাছে পুরসভার একটি জমি রয়েছে। সেই জমিটিই রেলের তরফে বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছে। এরফলে শিলিগুড়িতে বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। ওই জমিটি শিলিগুড়ি পুরসভার জমি। এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। সাধারণত প্রায়ই রেলের জমি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ ওঠে। তবে এবার ঠক উলটো হল। এভাবে পুরসভার জমি রেলের বিরুদ্ধে দখল করার অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দালালরাজের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা গৌতম দেবের
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমিতে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তার সামনে একটি স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকে সেই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার ওই জায়গা ঘুরে দেখেন মেয়র গৌতম দেব। এরপর তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া পুরনিগমের কমিশনারের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। সেই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। দ্রুতই তিনি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, বাসস্ট্যান্ড যেখানে তৈরি হচ্ছে তার সামনের জমিটি শিলিগুড়ি পুরসভার। এর আগে বিভিন্ন সমীক্ষাতেও তাই জানা গিয়েছে। কিন্তু সেটি অবৈধভাবে রেল দখল করেছে। তার ফলে বাসস্ট্যান্ডে ঢোকা এবং বের হওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা শাসকদের নিয়ে তিনি সেখানে পরিদর্শন করবেন বলে মেয়র জানিয়েছেন। তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়র বলেন, ‘মানুষের স্বার্থে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হচ্ছে। অথচ রেল বেআইনিভাবে জমি দখল করছে। এটা আমাদের জমি। এটা মানা যায় না। এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি যে রেল কাজে বাধা দিচ্ছে। এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা।’ এর প্রতিবাদে তিনি রাস্তায় নামবেন বলেও জানিয়েছেন। যদি এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রেলের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় স্থানীয়দের বাসস্ট্যান্ড তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই। সেই দাবি মেনে সেখানে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করা। এই বাস স্ট্যান্ড তৈরি হলে শিলিগুড়ি যানজটের যে সমস্যা রয়েছে তা কমবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।