ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ধরা পড়ল হাতে স্যালাইনের চ্যানেল লাগানো মোবাইল ফোন চোর। সোমবার রাতে এই ঘটনায় হাসপাতালে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রোগী হিসাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ওই যুবক অন্য রোগীদের মোবাইল ফোন চুরি করত বলে অভিযোগ। সোমবার অন্য রোগীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এর পর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমাঝেই হাসপাতাল থেকে গায়েব হয়ে যায় মোবাইল ফোন। রোগীদের ফোন তো বটেই, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাধিক ফোন চুরি গিয়েছে হাসপাতাল থেকে। চোর ধরতে হাসপাতালে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে হাসপাতালের কর্মীরা একে অপরকে সন্দেহ করতে থাকেন। অবশেষে সোমবার রাতে ধরা পড়ল চোর।
হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীরা জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যায় রাহুল আলি নামে এক রোগীর আত্মীয় ওয়ার্ডের ভিতরে নিজের মোবাইল ফোন চার্জিংয়ে বসান। কিছুক্ষণের মধ্যে গায়েব হয়ে যায় ফোনটি। তল্লাশি শুরু হলে অন্য এক রোগীর কাছে পাওয়া যায় সেই মোবাইল ফোন। এর পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাসপাতালের কর্মীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমাঝেই বিভিন্ন অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হতেন ওই যুবক। এবারও তার চিকিৎসায় হাতে লাগানো হয়েছিল স্যালাইনের চ্যানেল। এরকম এক রোগী যে ওয়ার্ডের ভিতরে হাতসাফাই করতে পারেন তা আগেভাগে বুঝতে পারিনি, স্বীকারোক্তি হাসপাতালের কর্মীদের।