গরু পাচার কয়লা পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলছে আসানসোল জেলা আদালতে। ফলে সম্প্রতি এই আদালতের একাধিক নির্দেশ শিরোনামে এসেছে। সেই আদালত চত্বর থেকে চুরি হয়ে গেল একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ টি নথি চুরি হয়ে গিয়েছে। যদিও গরু বা কয়লা পাচার সংক্রান্ত কোনও নথি চুরি হয়নি। তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে এই সংক্রান্ত মামলার নথি কি লোপাট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল?
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি নজরে এসেছে সোমবার। আদালতের প্রথম মুনসেফ কোর্টের রেকর্ড রুম থেকে নথি চুরি করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আদালতের মতো জায়গা থেকে কীভাবে চুরির ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে যান কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন দরজার একটি পাল্লার নিচের অংশ ভাঙা। এরপরেই তারা দেখেন, রেকর্ড রুমে টেবিলের উপর রাখা নথি উধাও হয়ে গিয়েছে। আদালতের কর্মীরা বিষয়টি বিচারককে জানিয়েছেন। পাশাপাশি আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সেনাওয়ানে এরপরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে গির্জা মোর এবং নিয়ামতপুর থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন তারা।
যে সমস্ত নথি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু মামলা নদী যার মধ্যে কিছু নিষ্পত্তি হওয়া মামলার নথি। আবার কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী মহলের একাংশ। আসানসোল বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাণী মণ্ডল জানান, এ বিষয়ে আদালতকে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত। আরও যত্নের সঙ্গে এবং নিরাপত্তার সঙ্গে নথি রাখা উচিত। জানা গিয়েছে, মুনসেফ কোর্টে তিনজন নাইট গার্ড পাহারা দেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৮৮৯ সালে প্রথম রানীগঞ্জে মহকুমা বিচার আদালতের জন্ম হয়। পরে ১৯০৫ সালে আসানসোলে স্থানান্তরিত করা হয়। আইনজীবীরা জানান, আদালতের ১১৭ বছর ইতিহাসে এর আগে কোনওদিন চুরির ঘটনা ঘটেনি।