টিটাগড় পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার টিটাগড় পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ব্যয়ামবিদ চয়নিকা আঢ্য। তাঁর অভিযোগ, নিয়োগপত্র পেলেও অয়ন শীলকে টাকা না দেওয়ায় তাঁকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।
চয়নিকার অভিযোগের জবাবে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমানে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভায় বেশ কয়েকটি শূন্যপদে নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছিল। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদে স্পোর্টস কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন চয়নিকা। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে আসেননি। এর পর আমি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তার মধ্যে করোনার লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলে বিষয়টি নিয়ে আর এগোন যায়নি। ওই সময় যারা চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শেষে কাজকর্ম শুরু হলে চয়নিকা কখনও পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কোনও চিঠিও দেননি। উনি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন তা পুরসভার নথি খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে।’
বৃহস্পতিবার টিটাগড় পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন চয়নিকা আঢ্য নামে চুঁচুড়ার বাসিন্দা এক ব্যয়ামবিদ। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে স্পোর্টস কোটায় পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে চুঁচুড়াতেই অয়ন শীলের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। চয়নিকাদেবী বাবাকে নিয়ে অয়নের অফিসে যান। সেখানে অয়ন তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তখন চয়নিকা জানান, টাকা তিনি দিতে পারবেন না। এর পর অয়নের বিধাননগরের অফিসেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন চয়নিকা। কিন্তু দেখা পাননি। এর পর তৎকালীন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরীর পর তিনি যোগাযোগ করেন। তিনি ও পুরসভার প্রধান করণিক তাঁকে বলেন, টাকা না দিলে চাকরি হবে না। নিয়োগ তালিকায় আমার নাম ছিল। কিন্তু তিনি টাকা দিতে পারবেন না বলায় রাতারাতি সেই তালিকা বদলে গিয়েছিল।