বাঁকুড়ায় রহস্য়ময় গুহাকে ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাথর কেটে তৈরি এই বিশাল গুহা। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাদুরের বাস। তার মধ্যেই একের পর এক কুঠুরি। একজন স্থানীয় লোকগবেষক মধুসূদন মাহাতো এই গুহার সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই গুহার বিষয়টি জানেন। এদিকে ইতিমধ্যেই দাবি করা হচ্ছে ওই গুহার মধ্যে আদিম মানুষরা থাকতেন। তার মধ্যে একাধিক কুঠুরির সন্ধান মিলেছে। মনে করা হচ্ছে সেখানে ওই কুঠুরিগুলিতে আলাদা পরিবার বাস করত। তবে এই দাবির পেছনে প্রামাণ্য কোনও কিছু মেলেনি এখনও। তবে গুহাকে ঘিরে রহস্য একেবারে চরমে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার পোড়পাহাড়ের মাঝামাঝি ওই গুহার সন্ধান মিলেছে। প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার এই গুহা। মানে একজন প্রমাণ সাইজের মানুষ ওই গুহায় ঢুকে যেতে পারবেন। প্রায় ৪-৫ ফুট চওড়া এই গুহা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল কিছুটা দূর যাওয়ার পরেই ওই গুহা আবার দুদিকে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ডানদিকের সুরঙ্গটি প্রায় ৬০ ফুট মতো চলে গিয়ে পাহাড়ের অন্যপ্রান্তে চলে গিয়েছে।
অন্যদিকে বাঁ দিকে যে সুরঙ্গটি রয়েছে সেটা প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ।গুহার সেদিকের অংশে আবার একাধিক কুঠুরি রয়েছে। ২০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া ওই কুঠুরিগুলি গুহার মধ্যেই রয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি এই ধরনের কুঠুরি রয়েছে। আর এই কুঠুরিগুলিকে ঘিরেই রহস্য একেবারে চরমে। তবে কি আদিম মানুষরা পাহাড়ের গুহায় এই কুঠুরিতে আশ্রয় নিত? তবে এনিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।