একদিকে ইয়াস আর অন্য়দিকে ভরা কোটাল। একেবারে সাঁড়াশি হানা উপকূলবর্তী এলাকায়। হু হু করে বাড়তে থাকে নদীর জলস্তর। জল ঢুকে পড়ে লোকালয়েও। গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আশ্রয়ের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন দুর্গতরা। এসবের মধ্যেই খবর আসে নদী দিয়ে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক হরিণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে জল ঢুকে পড়ে। এর জেরেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে হরিণের দল। এরপরই খরস্রোতা নদীর জলে ভেসে যেতে থাকে একের পর হরিণ। এদিকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া গ্রামবাসীরাও এই আশ্রয়হীন হরিণ উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সোনাগাঁ, দয়াপুর, দুলকি, ঝিঙাখালি এলাকায় থেকে মোট চারটি হরিণ গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন। তারাই হরিণগুলোর পরিচর্যায় এগিয়ে আসেন। বাসি্ন্দাদের দাবি, আয়লার সময়তেও এভাবে বনের হরিণ ভেসে এসেছিল নদীতে। সেই সময় গোসাবা, রাঙাবেলিয়া বিভিন্ন জায়গায় বিপন্ন হয়ে পড়েছিল জঙ্গলের জীবজন্তুরা। সেই ছবিই দেখা গেল এদিন। গোসাবা পাখিরালয় এলাকাতেও হরিণ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় বনদফতর সেই হরিণ উদ্ধার করেছে।
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গলের মধ্যে বাঘ সহ নানা ধরণের হিংস্র জন্তু রয়েছে। এগুলিও আশ্রয়হীন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রাতের অন্ধকারের মধ্যে এই ধরণের বন্য প্রাণী কোনওভাবে লোকালয়ে চলে এলে সমস্য়া আরও বাড়বে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বনদফতর। হরিণগুলিকেও উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।