রাজ্যে আবারও আক্রান্ত হল পুলিশ। এবার ঘটনাস্থল বারুইপুর। মাদক পাচার বিরোধী অভিযানে নেমে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ১৩ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। সেখানে তল্লাশি অভিযানে গেলে সন্দেশখালির ঘটনার মতোই পুলিশকে ঘিরে ধরে কয়েকশো গ্রামবাসী এবং মারধর করে। শুধু তাই নয়, পুলিশ কর্মীদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার বৃন্দাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাছপুকুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে টহলদারি পুলিশের ওপর হামলা দুষ্কৃতীদের, ভাঙল গাড়ির কাচ, আহত ৫
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবু নামে একজনের বাড়িতে অবৈধ মাদক এবং প্রচুর টাকা মজুদ আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশের একটি দল শুক্রবার বিকেলে হানা দেয় ওই বাড়িতে। পুলিশের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। এরপর পুলিশ পৌঁছে ওই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তখন তল্লাশিতে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়। সেগুলি খতিয়ে দেখার সময় হঠাৎ গ্রামবাসীরা পুলিশ কর্মীদের ঘিরে ধরে। পুলিশের কাছ থেকে তারা উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। এরপরে লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, তাদের একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
সব মিলিয়ে কয়েকশো গ্রামবাসী তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর মহাকুমার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর তারা আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে। তাদের বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ১৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অভিযান চলার সময় পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তবে তিনি জানিয়েছেন, ৪ জন আহত হয়েছেন। কারা হামলা চালিয়েছিল সে বিষয়টি নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় পুলিশ। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল সেই বাড়ির সদস্যরা জড়িয়ে থাকতে পারে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।