হাবরা জোড়া খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, শ্বশুর – শাশুড়িকে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল জামাই বান্টি সাধু। তাতে সফল না হওয়ায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে সুপারি কিলার ভাড়া করে সে। এমনকী শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অগ্রিম দেয় সুপারি কিলারকে।
হাবরায় প্রৌঢ় দম্পতি রামকৃষ্ণ ও লীলারানি মণ্ডল খুনে বুধবারই জামাই বান্টি সাধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর খোঁজ মেলে সুপারি কিলার অজয় দাসের। বান্টির শ্বশুরবাড়িতে আগে একবার গিয়েছিল অজয়। জেরায় বান্টি স্বীকার করেছে, ১০ লক্ষ টাকায় তাঁর সঙ্গে চুক্তি হয় অজয়ের। তার মধ্যে ৫০,০০০ টাকা অগ্রিম দেয় সে।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, নদিয়ার বেথুয়াডহরি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেনে অভিযুক্তরা। এর পর রাতের অন্ধকারে অপারেশনে নামে তারা। গুলি চালিয়েছিল অজয়। তখন সেখানেই ছিল বান্টি। অন্ধকারে গা ঢাকা দিতে কালো পোশাক পরে গিয়েছিল তারা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শ্বশুরমশাই রামকৃষ্ণ মণ্ডলের কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা নিয়ে সুপারি কিলারকে অজয়কে দেয় বান্টি।
পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় মণ্ডল পরিবারের আরও কোনও সদস্য জড়িত থাকতে পারেন। তাই সবার গতিবিধির ওপর নজরদারি চলছে। আরও জেরা করা হবে বান্টি ও অজয়কে।