বৃষ্টি পড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেই কাঠফাটা গরম আর নেই। আর এই বৃষ্টির দিনগুলোতে আরও সবুজে সবুজ হয়ে যায় পাহাড়। নির্জন পাহাড়ি রাস্তা। কোনটা মেঘ আর কোনটা কুয়াশা আলাদা করতে পারবেন না। আর বৃষ্টির শেষে যদি রোদের দেখা পান তবে তার মতো খুশি আর কিছু হয় না।
তবে এবার বর্ষায় সম্ভব না হলেও পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের কাগে। নামটা কেমন অদ্ভুত লাগছে তাই না! কিন্তু জায়গাটা একেবারে ফাটাফাটি। বাংলা আর সিকিম সীমান্তের একেবারে ধার ঘেঁষে এই নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। শুধু নির্জন বললে মনে হয় খুব কম বলা হয়। পাহাড়ের একেবারে মাথায় রয়েছে হোমস্টে। সেখান থেকে যখন চার পাশটা যখন তাকাবেন মনে হবে যেন আদিম কোন জায়গায় আপনি একলা। আর দূরে দেখা যাচ্ছে সভ্যতার আলো। এক অদ্ভুত অনুভূতি।
কাগের সবথেকে দুটি বিশেষত্ব হল পাহাড়ের কিছুটা উপরে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ পাওয়া যায়। আর এখানকার নাম না জানা পাখির দল।
এখান থেকে রিশপ মাত্র ১০ কিলোমিটার। পেডং খুব বেশি দূরে নয়। পাহাড়ের চূড়া থেকে সিকিমের একাধিক গ্রাম আপনি দেখতে পাবেন। কোলাখামের কাছের জলপ্রপাতে এখান থেকে যাওয়া যায়। চারপাশে সবুজে সবুজ। মেঘের দলে কখন যে হারিয়ে যাবেন আপনি বুঝতেও পারবেন না।
আর ফুলের মরসুমে এলে চারপাশে ফুলে ফুল। সঙ্গে মধু খাওয়ার ও সুযোগ পাবেন। এখানে অনেক জায়গায় মৌমাছির চাষ হয়।
তবে ঋতু ভেদে পাহাড় এক এক রকম রূপ নেয়। তবে কাগে আসার জন্য আপনি সেপ্টেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোন সময় আসতেই পারেন। তবে সারা বছরই বড্ড সুন্দরী এই গ্রাম। বর্ষাতে একেবারে অন্যরকম। পাহাড়ের সহজ সরল জীবন, নির্জন মনাস্ট্রি,রংবেরঙের ছোট ছোট বাড়ি সব মিলিয়ে মায়াবী পরিবেশ।
এখানে একদিকে যেমন হোমস্টে আছে । তেমনি টেন্টে থাকার সুবিধাও আছে। আপনি যেটা খুশি বেছে নিতে পারেন। টেন্টে থাকার অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এক অদ্ভুত অনুভুতি হবে। প্রকৃতির মাঝে থাকা। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা।
দিনের বেলা চার-পাশটা ঘুরে দেখুন। আর রাতে যখন নিঝুম অন্ধকার, তখন সামনের দিকটা একবার তাকিয়ে দেখুন। আলোর নেকলেস পরে দাঁড়িয়ে আছে দূরের পাহাড়।
এনজেপি থেকে কালিম্পং, পেডং হয়ে আসতে পারেন কাগে। আবার লাভা রিশপ হয়েও আসতে পারেন এখানে।
এনজেেপি থেকে কাগের দূরত্ব মোটামুটি ১০৫ কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি আসতে পারেন।