দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন বাবা। তারপর থেকে দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেই তিনি থাকছিলেন। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেননি ছেলে। আর সেই ক্ষোভে বাবাকে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। সৎ মায়েরও শ্বাসনালী কেটে দিল ছেলে। ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ঘটনাটি হুগলির জিরাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার। মৃতের নাম চন্দকান্ত সাহা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দকান্ত দ্বিতীয় বিয়ে করার পরেই পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। তারপর তিনি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। রামকৃষ্ণ সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গত ১ তারিখ থেকে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন। গতকাল রাতে আচমকাই চন্দকান্তের ছেলে ওই ভাড়া বাড়িতে আসে এবং বাবা ও সৎ মায়ের ওপর চড়াও হয়। অস্ত্র দিয়ে চন্দকান্ত এবং তার স্ত্রী অঞ্জনা সাহার উপর আক্রমণ করে ওই যুবক। সে দু'জনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হন। ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ছেলে।
এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। চন্দকান্তের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে অঞ্জনার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় কৃত্রিমভাবে তার শ্বাসনালীর ব্যবস্থা করেছেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের একজন জানান, ‘আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করছিল। তবে তার আগেই বলাগড় স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।