লাগাতার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত সৎ বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নির্যাতিতা ওই কিশোরী। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাদুড়িয়ায়। মেয়ের উপর নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে পারেননি মা। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বাদুড়িয়া থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় চাষি অভিযুক্ত সৎ বাবা বাদুড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এই ব্যাক্তির দুই বিয়ে। তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী দু’টি মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ১৫ বছর ও ছোটa মেয়ের বয়স ১২ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা হচ্ছিল না অভিযুক্তের। ওদিকে গত তিন-চার বছর আগেই বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। সেই থেকেই দুই মেয়ে অভিযুক্ত সৎ বাবার সঙ্গেই থাকত। মাঝের মধ্যে দুই মেয়েকে বাড়িতে দেখতে আসতেন মা। আবার মেয়েদের বাপের বাড়িতে নিয়ে চলে যেতেন ওই মহিলা। কিন্তু সেখান থেকে অভিযুক্ত দুই মেয়েকে ফিরিয়ে আনত অভিযুক্ত।
একইরকমভাবে চলতি সপ্তাহে দুই মেয়েকে বাপের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। কিন্তু বড় মেয়েকে নিশ্চুপ হয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন ঘরবন্দী অবস্থায় থাকার কারণে হয়ত মানসিক অবসাদে ভুগছে সে। সেকারণে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতেই প্রকৃত ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁর বড় মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। তারপরই পুরো ঘটনাটি সামন আসে।