বিয়েতে মত ছিল না পরিবারের। কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না একথা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। এর জেরে শেষ পর্যন্ত বিয়েই করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের পরে চারদিনও কাটেনি। তার মধ্যেই ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন দুজনেই। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনা?
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের লাভপুরের দুনাইপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ ঘোষের সঙ্গে বোলপুরের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গেই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজেশ। কিন্তু দুজনেরই বাড়ির লোকজনের সায় ছিল না বিয়েতে। কিন্তু এক সপ্তাহও একই সঙ্গে থাকা হল না দুজনের। বিয়ের পরে বড়ার গ্রামের বাসিন্দা এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দুজনে। কীভাবে যে এই ঘটনা হয়ে গেল তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না ওই ব্যক্তি।
এদিকে রাজেশের পরিবারের দাবি, তাদের মধ্যে সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার পর থেকেই রাজেশের উপর নানাভাবে মানসিক চাপ তৈরি করা শুরু হয়। এনিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবুও প্রেমিকার হাতটা ছাড়তে চাননি রাজেশ। বিয়ের পরে সেই চাপ আরও বাড়তে থাকে। তার জেরেই কি চরম পথ বেছে নিলেন দুজনে? একই ওড়নার ফাঁসে ঝুলে পড়লেন দুজনে। অমর প্রেম। মৃত্যুর পরেও যেন সেই প্রেমকেই বাঁচিয়ে রাখলেন তাঁরা।