লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেই এরাজ্যে বিজেপির নেতাকর্মীদের ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। শুক্রবার প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে সিউড়ির বেনীমাধব হাই স্কুলের মাঠে তিনি বলেন, লোকসভায় ৩৫এর বেশি আসন বঙ্গবাসী দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না তাঁদের। এদিনের সভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রথমবার প্রকাশ্যে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শোনা যায় অমিত শাহকে।
এদিন শাহ বলেন, আমি আজ বাংলার জনতাকে বলতে এসেছি, ‘২০২৪এর নির্বাচনে বাকি কাজটুকু সেরে ফেলুন। বাংলায় ৩৫টির থেকে বেশি আসন ভারতীয় জনতা পার্টিকে দিয়ে মোদীজিকে প্রধানমন্ত্রী করুন। পিসি ভাইপোর অপরাধকে শেষ করার একমাত্র রাস্তা ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলাকে সংন্ত্রাসমুক্ত করার একমাত্র রাস্তা ভারতীয় জনতা পার্টি। অনুপ্রবেশ, গরুপাচার রুখতে পারে একমাত্র বিজেপি। ২০২৪ সালে আমাদের ৩৫এর বেশি আসন দিন, ২০২৫ সালের অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধসে যাবে। আর একবার বাংলায় পদ্ম ফোটালে বোমা বিস্ফোরণ হবে না, রাম নবমীর মিছিলে হামলা হবে না, অত্যাচার হবে না, অনুপ্রবেশ হবে না, গরুপাচার হবে না। বাংলায় যে ধরণের দুর্নীতি চলছে তা শেষ করার একমাত্র উপায় ভারতীয় জনতা পার্টি’।
এদিন শাহ বলেন, ‘সম্প্রতি হাওড়া ও রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে হামলা হয়েছে। আমি জানতে চাই, বাংলায় রাম নবমীর শোভাযাত্রা বেরনো উচিত কি উচিত নয়? তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির জন্য এত সাহস পেয়েছে। মোদীজিকে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন দিয়ে প্রধামন্ত্রী করুন। আমি কথা দিচ্ছি বাংলায় রাম নবমীর মিছিলে হামলা করার সাহস কারও হবে না’।
শাহের দাবি, ‘দিদির শাসনে বাংলা বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যে বীরভূম স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাতে আতঙ্কের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীজি সারা দেশে জাতপাতের রাজনীতি আর পরিবারতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেন না। বাংলার জনতার কল্যাণ ওঁর লক্ষ্য নয়। ওঁর একমাত্র লক্ষ্য হল ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বাংলার মানুষের জন্য ওঁর কোনও চিন্তা নেই। মোদীজি যে প্রকল্পগুলি পাঠাচ্ছেন সেগুলো নীচু তলায় পৌঁছতে দেন না’।
এদিনের সভা থেকে বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।