বালেশ্বরে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ , চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর আর্জি, এমনটা যেন আর না করা হয়। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
রবিবার আহতদের দেখতে বালেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছন শুভেন্দু। সেখানে অর্থপেডিক বিভাগে ভর্তি আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কী অবস্থা, কারও স্থানান্তরের প্রয়োজন আছে কী না তা জানতে চান বিরোধী দলনেতা। যাঁরা বাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় কি না তাও জানতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার দিন রাতে বিরোধী দলনেতার পক্ষ থেকে ১৫ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। সেই অ্যাম্বলেন্সে করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার কাউকে কাউকে বাড়ি পৌঁছে দিতেও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়।
হাসপাতালে আহতদের দেখার পর বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন,'মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি ছাড়া ৯ জন রোগীকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।' এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিশানা করে বলেন, 'বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শিকেয়। সে জন্যই তো ভাইপো বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান।'
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘চুনোপুঁটিদের কথার কোনও জবাব দেব না।’ তবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন,'ওরা ভারতকে ভাগ করতে চায়। এটা আমার দেশ। আমি যেখানে ইচ্ছে চিকিৎসার জন্য যাব। হয় ওঁরা ভারতীয় রেল ব্যবস্থা ঠিক করুক, নইলে রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করুন।'
করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানো ছিল না কেন? পাল্টা প্রশ্ন তুলে শুভেন্দুর বক্তব্য,'তদন্তের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেন কী করে যে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস লাগানো ছিল না?'
(পড়তে পারেন। করমণ্ডলে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে TMC-র বিক্ষোভের মুখে অগ্নিমিত্রা)