পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে। আগামী কয়েকদিনে আরও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতাদের একই অবস্থা হবে। এবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সম্প্রতি তিনি নয়াদিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। আর তারপরই শনিবার হুগলির তারকেশ্বরে একটি দলীয় সভায় যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এমনকী দুর্নীতির তদন্তে প্রধানমন্ত্রী–মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি তাঁর।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে? শুক্রবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর এই বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা–গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের দাবি, রাজ্যের বকেয়া পাওনা আদায় করতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে বাধা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর অংশ। স্বাধীনতার পর থেকেই হয়ে আসছে। এটা নিয়ে এত ভাববার কী আছে? নীতি আয়োগের বৈঠকও সরকারি কর্মসূচি। তা নিয়ে এত আপনাদের মাথাব্যথা কেন? একুশে জুলাইয়ের পরের দিন অপা সিন্ডিকেট সামনে এসেছে। আগামী কয়েকদিনে তোলাবাজ পার্টির গুন্ডা, তোলাবাজ, ডাকাত, চিটিংবাজ প্রথমসারির অনেক নেতাদেরই অবস্থা কী হয়, আপনারা দেখতে পাবেন৷’ এই মন্তব্য এখন শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
তাহলে কী শুভেন্দুর কাছে গোপন খবর রয়েছে? যদিও এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু সোমবারই গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে ইডি। তার মধ্যেই শুভেন্দুর এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী–মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরদিনই শুভেন্দু প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানেও নানা নালিশ করা হয়েছে।