শ্রাবণ মাস চলছে। এই মাসে প্রতি সোমবার ভোলানাথের মাথায় জল ঢালাকা পূণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়। তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সময়ে জাগ্রত শিবমন্দিরে হাজির হন। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বড় শিবমন্দির রয়েছে তারকেশ্বরে। শ্রাবণ মাসে তাই এই মন্দিরেও মারাত্মক ভিড় হয়। বিশেষ করে সোমবারগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবং তারকেশ্বর যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হল ট্রেন।
(আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের আশীর্বাদ চান? কর্পূর দিয়ে এই কাজগুলি করুন)
অনেকেই পূণ্যলাভের জন্য কাঁদে বাঁক নিয়ে হেঁটে তারকেশ্বর যান। কিন্তু জল ঢালার পরে ফেরার মাধ্যম বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই সেই ট্রেন। এছাড়াও অনেকে ট্রেনেই যান, ট্রেনেই ফেরেন। তাই সব মিলিয়ে এই সময়ে ট্রেনে বাড়তি ভিড় তৈরি হয়েই যায়। আর তাতেই রেলের আয়ও বাড়ে কিছুটা। এ বছরে কতটা আয় হল রেলের?
(আরও পড়ুন: কাল শ্রাবণের প্রথম সোমবার, আপনার রাশি মিলিয়ে করুন এই কাজগুলি! অভাব অনটন মিটবে)
পূর্ব রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে রেকর্ড টিকিট বিক্রি হয়েছে তারকেশ্বর স্টেশন থেকে। শিবের মাথায় জল ঢালতে রোজই কমবেশি লক্ষ মানুষের ভিড় হয় এখানে। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় রবিবার আর সোমবারে। তাতেই বাড়ে টিকিট বিক্রি। এবারে কত লাভ হয়েছে রেলের? শুনলে চমকে উঠবেন অনেকেই।
(আরও পড়ুন: এই সব স্বপ্ন কখনও দেখেন? শ্রাবণে এই স্বপ্ন দেখার মানেই সুদিন আসছে)
শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালা ছাড়াও আরও একটি আকর্ষণ আছে। এই মাসেই চলে শ্রাবণী মেলা। ৩ জুলাই গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে চলছে এই মেলা। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এটি। সাধারণত এক মাস ধরে চলে এই মেলা। কিন্তু এবারে শ্রাবণ মাসটি মলমাস। তাই টানা দু’মাস ধরে চলছে এই মেলা। সব মিলিয়ে মোট আটটি সোমবার মহাদেবের আরাধনার তিথি রয়েছে। ফলে দলে দলে মানুষ যাচ্ছেন তারকেশ্বরে। তার ফলে আয় বাড়ছে রেলেরও। কিন্তু সেটি কত?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই সোমবার সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তারকেশ্বর লাইনে। একটি দিনেই প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে তারকেশ্বর স্টেশন থেকে। এই সময়ে বিশেষ ট্রেনও চালছে। তার ফলে যাত্রী সংখ্যাও যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে রেলের আয়ও।