বগটুই কাণ্ডের পর একটু একটু করে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরে সেখানে বসেছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। এর ফলে আতঙ্ক কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসছেন সেখানকার মানুষ। পড়ুয়ারাও স্কুলে যাচ্ছে। ২১ তারিখ রাতে রামপুরহাটের জাতীয় সড়কের ধারে বাগটুই মোড়ে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। তারপর থেকে সেখানে বন্ধ ছিল ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মকসদ শেখের চায়ের দোকান। এক সপ্তাহ পর আবার চায়ের দোকান খুলল মকসদের।
তিনি জানান, ভাদু শেখ খুন হওয়ার সময় তিনি দোকান বন্ধ করছিলেন। দোকানের জিনিসপত্র কাঠের আলমারিতে রেখে তালা বন্ধ করে সবে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন। সেই সময় বোমার আওয়াজ শুনতে পান। পরে আরও দুটি বোমার আওয়াজ পান। ঘটনায় কোনওভাবে দোকানে তালা লাগিয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে জানতে পারেন সেখানে ভাদু শেখ খুন হয়েছেন। এরপর থেকেই তার দোকান বন্ধ ছিল। মকসদের কথায়, ‘ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর আমি আতঙ্কে দোকান খুলতে পারিনি।’
বগটুই মোড়ে আরও বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেগুলি অবশ্য কিছুদিন আগেই খুলেছে। এখন সেখানে সন্ধ্যা নামলেই দোকান বন্ধ করে চলে যান ব্যবসায়ীরা। বগটুই মোড়ের এই দোকান থেকে যা আয় হয় তাতেই সংসার চালান মকসদ। কিন্তু, ঘটনার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিন চারদিন ধরে মোড়েই আসতে পারেননি। তার কথায়, ‘আগে কখনও এরকম হয়নি এলাকায়। তাই আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম।’ ব্যবসায়ীরা চাইছেন যাতে বগটুই কান্ডের পুনরাবৃত্তি কোনওভাবেই না হয়। তারা চাইছেন, এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে বসবাস করতে পারে পুলিশ প্রশাসন তার ব্যবস্থা করুক।