শুক্রর পর শনিবার। ফের সন্দেশখালিতে জমি দখলের অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারকে তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা। আবারও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বদলে প্রতিবাদীদেরই তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে যদিও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালির হালদার পাড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বিনয় সরদার জমি দখল করে শেখ সিরাজউদ্দিনের হাতে তুলে দিতেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোর কাজ- ট্রায়ালের পরে চিংড়িঘাটায় ৭৫ দিনের ‘ব্লক’, এখন কোন পথে যাবে গাড়ি?
এদিন সকালে হালদার পাড়ায় বিনয় সরদারের পরিবারের সদস্যদের দেখা যেতেই লাঠি সোটা নিয়ে তেড়ে যান কয়েকজন গ্রামবাসী। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিনয় সরদার স্থানীয়দের জমি দখল করে সিরাজের হাতে তুলে দেয়। এক বধূ বলেন, আমাদের জমি দখল করে ঘর ভেঙে দিয়েছে। তার পর সেই জায়গায় মাটি ফেলে উঁচু করে দোকান বানিয়েছে সিরাজের অনুগামীরা। এর জন্য আমাদের কোনও পয়সা দেয়নি। আমরা এখন সবাই একটা ঘরে ঠাসাঠাসি করে থাকি। এতদিন সিরাজের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। বললেই প্রাণনাশের ভয় দেখাত সিরাজের অনুগামীরা। বলত, মেরে গুম করে দেবে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ সিরাজ বা শিবু হাজরার সঙ্গে মিটমাট করে নিতে বলত।
খবর পেয়ে ডিআইজি বারাসত রেঞ্জ ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এর পর প্রতিবাদীদেরই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই যদিও তাদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালির সমাধান হল আফস্পা’, এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে বড় পরামর্শ তথাগতর
শুক্রবার বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে আছড়ে পড়েছিল স্থানীয়দের ক্ষোভ। তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয়, ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। গণঅভ্যুত্থানের সন্দেশখালিতে এবার জনরোষ টের পেলেন আরও এক তৃণমূল নেতা।