একে বিস্ফোরক বললেও খুব কম বলা হয়। দলের বিরুদ্ধে মারাত্মক মন্তব্য চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। দলের একাংশের মতে চুঁচুড়া শহর যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রেমজিৎ সাহার উপর দলের অপর গোষ্ঠী চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রেমজিৎ আবার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ। সেকারণেই প্রেমজিতের উপর হামলা মানতে পারেননি তিনি। তার জেরেই একেবারে বিস্ফোরক মন্তব্য।ঠিক কী বলেছেন তিনি?
অসিত মজুমদার সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, 'তৃণমূলে তো এখন ডাকাতও কর্মী, চোরও কর্মী। তাই বলে কি আমি ডাকাতকে ছেড়ে দেব? চোরকে ছেড়ে দেব?'প্রকাশ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন অসিত মজুমদার। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে নিজের দলের অন্দরে যে চোর ডাকাতে ভর্তি হয়ে গিয়েছে সেটাই কি পরোক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছেন অসিত মজুমদার?
দলের একাংশের মতে প্রেমজিত দলীয় দফতরের সামনে বলেছিলেন দাদাই সব দিদি কেউ নন। এর জেরেই সংঘর্ষ। তবে দলের অপর অংশের মতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ঝন্টু বিশ্বাসের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন প্রেমজিত। তারপরই তার উপর চড়াও হয় অন্যান্যরা। আর বিধায়ক বলেন, 'রবীন্দ্রনগর ব্যান্ডেলের মতো জায়গাকে শান্ত করে দিয়েছি। বালির মোড়ের মতো জায়গায় উচ্ছৃঙ্খলতা চলবে, মারধর করা হবে এটা মানা যায় না।' এদিকে বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি তো তবে চোর ডাকাতের সর্দার।