সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার ২ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে রাতভর তাণ্ডব চালাল মত্ত দুষ্কৃতীরা। আক্রমণ হল পুলিশের ওপরেও। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির। এমনকী ৪ ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ৯ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘু স্কলারশিপ জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার রাঘবপুর হাই স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক তথা নোডাল আধিকারিক সাকির আলী এবং সাবধান স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক এহেসান আলিকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করে করনদিঘি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের থানা থেকে ছাড়াতে রাতে করণদিঘি থানা ঘেরাও করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও কিছু মত্ত দুষ্কৃতী। রাত ১২টা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তারা। ভোর ৩টে নাগাদ পুলিশকর্মীরা অবরোধ তুলতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। তাতে ৯ জন পুলিশকর্মী আহত হন। এরপরেই র্যাফ ও পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেয়। গ্রেফতার করা হয় ৯ জন দুষ্কৃতীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে একদল দুষ্কৃতী মত্ত অবস্থায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে আক্রমণ করে তারা। এই হামলায় করনদিঘি থানার আইসিসহ ৯ জন পুলিশকর্মী আহত হন।
বুধবার সকালে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু রায়গঞ্জের বোগ্রামে চায়ে পে চর্চায় বসে অভিযোগ করেন, ‘স্কলারশিপ জালিয়াতি কাণ্ডে কিছু তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস করনদিঘি থানায় তাণ্ডব চালায়, বোমাবাজি করে, গুলি চালায়’।
তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা বোমাবাজি বা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘শুনেছি তৃণমূল কংগ্রেস থানার সামনে আন্দোলন করছিল। কেন এই আন্দোলন সেটা আমরা খোজ নিয়ে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেই বলা যাবে’।