এবার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এমনকী ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে অভিযোগ। নদিয়ার গয়েশপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৭ এপ্রিল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা গ্রামে। আনোয়ার যে ফতোয়া জারি করেছিল তা অমান্য করার অপরাধেই রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই এই নেতা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবার ইটভাটার মালিক। নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় আনোয়ার।
কী অভিযোগ করছে পরিবার? নির্যাতিতার দাদা বাদশা শেখ বলেন, ‘আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু আনোয়ারের অত্যাচার থেকে রেহাই মেলেনি। সেদিন রাতে দুষ্কৃতীদের নিয়ে সে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। বাড়িতে আমার মা এবং বোন ছিল। বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের উপর অত্যাচার করে। আমার অন্তঃসত্ত্বা বোনের পেটে লাথি মারা হয়। তার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়।’
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য কী? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতা আমিরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জানতে পেরেছি ওই পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবে আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হবেই।’