বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে বড় ভবিষ্যদ্বানী করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আগেও তিনি নানা মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। এবার বাঁকুড়া থেকে আগামী ২৫ বছর এই রাজ্যে বিরোধীদের যা দেখতে হবে সেটাও বাতলে দেন তিনি। আর তাতেই প্রবস আলোড়ন এবং চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? এদিন বাঁকুড়ার দুর্লভপুরে শ্রমিক সংগঠনের কালীপুজোয় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মদন মিত্র বলেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা কতটা শক্তিশালী হবে তা বলতে গেলে জ্যোতিষী হতে হয়। তবে এটা বলা যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দিতে পারবে না বিরোধীরা। এজেন্টও দিতে পারবে না। এই নির্বাচনে বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেস যে ধাক্কা পাবে তাতে আগামী ২৫ বছর এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দলের পতাকা দেখা যাবে না।’ এই মন্তব্যের পর থেকেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? কালীপুজো মিটে গিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনই রাজ্যে বড় ইভেন্ট বলা যেতে পারে। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে প্রতিবাদ তো হবেই, আমরা আদালতের দ্বারস্থও হব। বিগত পুরসভার নির্বাচনগুলিতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। বিষয়টি আদালতেরও নজরে রয়েছে। পুরসভার নির্বাচনে শাসকদল ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের দাবি থাকবে, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই করার।’
উল্লেখ্য, এখন রাজ্যের নেতা–মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। তাতে বিজেপি খানিকটা অক্সিজেন পেয়েছে। এই ইস্যুকেই কাজে লাগাতে চায় বিরোধী শিবির। সেখানে রাজ্য সরকার তার উন্নয়নের কাজকেই সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার সেই বার্তাই দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মদন মিত্রের এমন মন্তব্য নিয়ে বিরোধীরা আলোচনা করতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও লড়াই হবে।’