এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে পড়েছে। সেখানে বিরোধীরা শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে প্রচার করছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শিক কাবাব তৈরি করবে দলের ছেলেরা এবং কাবাব আর শিক দুটোই কাজে লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আর তাতেই বিতর্ক চরমে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন দলের ছেলেরা কি তৈরি করবে তা বলেছেন মদন মিত্র। আর বিরোধীদের জন্যও বার্তা দেন। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কামারহাটির খাদ্য উৎসবে যোগ দিয়ে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শিক কাবাব তৈরি করবে আমাদের ছেলেরা। বিরোধীদের জন্যও থাকছে শিক কাবাব। ভোটের দিন কাঁচা মাংস ঝলসে ঘি মাখন লেবু টিপে বিট নুন লঙ্কা দিয়ে তৈরি হবে কাবাব। এক থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে। ওদের গোলকিপার নেই। তাই ৬–৭ গোল এমনিই হয়ে যাবে।’ এই মন্তব্য নিয়েই রাজ্য–রাজনীতিতে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কেন বিতর্ক তৈরি হল? পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য উস্কানিমূলক বলে মনে করছে বিরোধীরা। অনেকে আশঙ্কা করছেন তাহলে বোধহয় শিক দিয়ে পিটিয়ে কাবাব বানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কারণ মদন মিত্র দাবি করেছেন, এক–দু’ ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে। ওদের গোলকিপার নেই। তাই ৬–৭ গোল এমনিই হয়ে যাবে। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা পঞ্চায়েতের আগে শক্তিশালী হবে কি না সেটা বলার জন্য হাত গুনতে হবে। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, ৭০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন ও এজেন্ট দিতে পারবে না বিরোধীরা। এমন ধাক্কা পাবে যে ২৫ বছর তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলের পতাকা এই রাজ্যে দেখা যাবে না।
বিরোধীদের কী বার্তা দিয়েছেন মিত্র মদন? কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক কামারহাটির খাদ্য উৎসবে যোগ দেন। আর সেখানেই বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার আইটেমটার নাম হচ্ছে শিক কাবাব। এখন আমাদের ছেলেরা সারাবছর খাটবে, কিছু হবে না, তা তো হয় না। তাই শিক কাবাবটা একটু শিখে রাখছি। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিকটাও কাজে লাগবে। আর কাবাবটাও কাজে লাগবে। বিরোধীরা খেতে চাইলে আমরা তো অত অসভ্য নই, শিকটা দিতে পারব না। তবে কাবাবটা খাইয়ে দেব।’