বিশ্বভারতীর ভিতরে রাজনীতি প্রবেশ করেছে বলে বরাবরই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অসিত মাল। এখন সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে। তার মধ্যেই এই নালিশের চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই নালিশকে স্বাগত জানিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন।
এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বারবারই তুলোধনা করেছেন বিশ্বভারতীর উপচার্যকে। সেখানে বোলপুরের সাংসদ বলেন, ‘জুলাই মাসের প্রথমে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলাম বাদল অধিবেশনে বিশ্বভারতীয় গোটা পরিস্থিতিটা তুলে ধরব। তাই কথা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে।’ এই নালিশ চিঠির খবর কানে পৌঁছেছে উপাচার্যেরও। এখন দেখার তিনি কোন পথে হাঁটেন।
সাংসদের চিঠিতে কী অভিযোগ রয়েছে? এই বিষয়ে অসিত মাল বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এখন সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন। এমনকী আর্থিক দুর্নীতি, স্টাফদের বরখাস্ত করা, পেনশন–বেতন আটকে দেওয়া–সহ বহু অভিযোগ রয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অধ্যাপক–স্টাফরা চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সবমিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন উপাচার্য।’ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ধর্মেন্দ্র প্রধানের চপার নামতে বাধা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গণে হেলিপ্যাড করতে দেওয়া হয়নি। বোলপুরের সাংসদের অভিযোগের বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য থেকে জনসংযোগ আধিকারিক সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এমনকী যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।