দু’জনেই হুগলি জেলার নেতা। একজন সাংসদ। অপরজন প্রাক্তন বিধায়ক। এই প্রাক্তন বিধায়কের দমবন্ধ হয়ে আসছিল বলেই সেফ হোম হিসাবে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় সফর করেছিলেন জেট বিমানে। কিন্তু মোহভঙ্গ হতেই তিনি জোড়াফুলে ফিরতে চাইছেন। হ্যাঁ, তিনি উত্তরপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। আর তাঁকেই বেইমান বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছে এই জেলায়? সম্প্রতি প্রবীর ঘোষালকে দেখা যায় মদন মিত্রের মঞ্চে। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় লিখছেন তিনি। শনিবার হুগলির কোন্নগরে বইমেলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট কথা বলি। ভাগ্যিস গত সপ্তাহে আসিনি। তাহলে বেইমানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে হতো। আমি মঞ্চ ভাগ করতে পারব না। আমি কোনও নাটক করি না। তাতে কার ভাল লাগল, কার লাগল না, তাতে কিছু করার নেই। রাজনীতি একটা সিরিয়াস জায়গা।’
এটা যে তিনি প্রবীর ঘোষালকে নিশানা করেই বলেছেন তা বুঝতে কারও বাকি নেই। কারণ এখানেই এসেছিলেন প্রবীর। একান্তে কথা বলেছিলেন মদন মিত্রের সঙ্গে। মদনের সঙ্গে কল্যাণের সম্পর্ক ভাল। কিন্তু প্রবীরের এদিক–ওদিক করাকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই আবার তৃণমূল কংগ্রেসের আসার যে চেষ্টা করছেন প্রবীর ঘোষাল তা মেনে নিতে না পেরেই বেইমান মন্তব্য করেছেন কল্যাণ বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, যাঁরা যেতে চান এখনই চলে যান। কিন্তু ওখানে গিয়ে লাভ হবে না। পরে সব হিসাব বুঝে নেব। এবার সেই হিসাবই তিনি বুঝে নিচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রবীর ঘোষাল এখন দলে ফিরতে চাইছেন। তাই তিনি বলছেন, ভুল তো মানুষই করে।