মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে নন্দীগ্রাম দিবসের সভা ঘিরে প্রস্তুতি ও বিতর্ক দুই তুঙ্গে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর হাই স্কুলের মাঠে বাঁধা হয়েছে বিরাট ম্যারাপ। তৃণমূল নয়, সভা হবে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে। শুভেন্দুর এই সভার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, নন্দীগ্রাম দেখবে তৃণমূলই।
গত ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজের মাঠে এক অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রাম দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। জানিয়েছিলেন, ওই সভায় যোগ দেবেন নন্দীগ্রাম ও খেজুরি ব্লকের মানুষ। কিন্তু এর মধ্যে জেলায় জেলায় পড়েছে ‘দাদার অনুগামী’-দের ব্যানার। যা থেকে অনুমান, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জমায়েত হবেন ওই সভায়। সেজন্য আগেভাগে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে নেমেছে পুলিশ।
আগামিকালের সভা হবে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে। যার বিরোধিতায় সরব হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে দলীয় প্রতীক না থাকলে কোনও সভায় কর্মীদের যোগ না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের পূর্ব মেদিনীপুরের সহ সভাপতি অখিল গিরি।
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নন্দীগ্রাম তৃণমূলই দেখবে। নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। এর বাইরে কোনও খবর আমার কাছে নেই।’
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। ভোট পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস দলটার অস্তিত্ব থাকবে না।